শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৯ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক: ৫০ বছরে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি জানান, এই অঞ্চলের উন্নতির জন্য বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে এগিয়ে যাবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
জন্মলগ্ন থেকে ভারত বাংলাদেশের বন্ধু এমন মন্তব্য করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যেকার সুদৃঢ় এই সম্পর্ক কেউ নষ্ট করতে পারবে না। এই অঞ্চলের উন্নতির জন্য বাংলাদেশ ও ভারতকে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশ গঠনে অনেকে আপত্তি তুলেছিল। তাদের সেই আপত্তি বর্তমান বাংলাদেশ ভুল প্রমাণ করেছে।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আমি আনন্দিত যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে তার সক্ষমতা প্রদর্শন করছে। যারা বাংলাদেশ গঠনে আপত্তি করেছিলেন; যারা এখানকার মানুষকে নিচু চোখে দেখতেন, যারা বাংলাদেশের অস্তিত্ব নিয়ে সন্দিহান ছিলেন, বাংলাদেশ তাদের ভুল প্রমাণ করেছে।’
ঢাকা-নয়া দিল্লির জন্য আগামী ২৫ বছর খুব গুরত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি একটি আনন্দময় ও কাকতালীয় ঘটনা যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর আর ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর একসঙ্গে পড়েছে। আমাদের উভয় দেশেরই জন্য আগামী ২৫ বছর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ঐতিহ্যের অংশীদার, আমরা উন্নয়নেরও অংশীদার।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, আমরা প্রমাণ করেছি যে পারস্পরিক বিশ্বাস ও সহযোগিতা থাকলে সব সমস্যার সমাধান করা যায়। আমাদের স্থল সীমান্ত চুক্তি এর সাক্ষী। করোনার এ দুঃসময়েও দুটি দেশের মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক বজায় রয়েছে। আমরা সার্ক কোভিড তহবিল গঠনে সহযোগিতা করেছি, নিজেদের মানবসম্পদের প্রশিক্ষণে সহায়তা করেছি।
এর আগে বিকাল চারটায় জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন নরেন্দ্র মোদি।
নরেন্দ্র মোদি পৌঁছার পর বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শুরু হয়।
‘মুজিব চিরন্তন’শীর্ষক মূল প্রতিপাদ্যের ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আজকের প্রতিপাদ্য ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর ও অগ্রগতির সুবর্ণরেখা’ ।
অনুষ্ঠানের মুজিববর্ষের লোগো উন্মোচন করা হয়। এরপর মুজিববর্ষের থিম সং পরিবেশন করা হয়। থিম সংয়ের পর ‘মুজিব চিরন্তন’ শীর্ষক ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর সেনা-নৌ ও বিমানবাহিনীর বিশেষ পরিবেশনায় মুক্তিযুদ্ধের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।